আধুনিক বৈদ্যুতিক বাতি আবিস্কারের ইতিকথা

মানুষ আগুনের ব্যাবহার ঠিক কবে নাগাদ শিখেছে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট কোন প্রমাণ নেই, তবে আগুন জালানো শেখা মানব জাতীর ভবিস্যত গতিপথ পরিবর্তন করে দিয়েছে। প্রাচিণ কালে মানুষ যখন খাবার পুরিয়ে খেত না তখন মানুষের গড় আয়ু ছিল তুলনামুলক অনেকটাই কম। মানুষ যখন মাংশ আগুনে পুরিয়ে খাওয়া শিখল, মাংশ পোড়ানোর কারণে মাংশে থাকা জিবানু ও পরজীবি নষ্ট হয়ে যেত যার ফলে ত্বতকালিন মানুষদের রোগ ব্যাধি কম হতে লাগল এবং মানুযের আয়ুসকাল ও বৃদ্ধি পেল.

আগুন মানব জাতিকে সুধু জিবানুমুক্ত খাবার দিয়েছে সেটাই কিন্তু নয়। আগুন আমাদের দিয়েছে তাপ, আলো, তাপ দিয়ে যেমন আমাদের পূর্বপুরুষগণ শীত নিবারণ করতেন তেমন অন্ধকার রাতে আগুন দেখিয়েছে পথ তাদের দিয়েছে সাপ, পোকামাকর, হিং¯্র প্রাণীর আক্রমণ থেকে সুরক্ষা। আগুন আবিস্কার হবার আগে রাতে মানুষের আলোর একমাত্র উৎস ছিল চাঁদ। রাতে আলো প্রদানকারি সে চাঁদকে দেবতা মনে করে আমাদের পূর্বপুরুষগণ চাঁদকে পুজাও করতেন। যদিও আগুন আবিস্কার হবার পরেও চাঁদকে দেবতা হিসেবে পুজা করা হয়েছে আরও বহু বছর। পুজা করা হয়েছে বললে ভুল হবে। এখনও পৃথীবির বিভিন্য দেশে চাঁদকে দেবতা হিসেবে পুজা করা হয়ে থাকে.

আগুন আবিস্কার হবার পর মানুষের জন্য নতুন সম্ভবনার দুয়ার উন্মচিত হয়। আগুন আবিস্কারের পর মানুষ শিখে নিয়েছে প্রাকৃতিক তেল ব্যাবহার করে বাতি জালানোর কৌশল পরর্বতিতে প্রাকৃতিক তেল সেই বাতিতে জালানি হিসেবে ব্যাবহত হয়। ১৮২০ থেকে ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে বৃটেনের একজন বিজ্ঞানী’মাইকেল ফ্যারাডে” প্রথম বিদ্যুত উৎপাদন করার তত্ব আবিস্কার করেন। সে তত্ব অনুযায়ি এখনও বিদ্যুত উৎপাদন হয়ে চলেছে। আমার ব্যাক্তিগত মত হল বিদ্যুত আবিস্কার মানব সভ্যতাকে যা দিয়েছে আর কোন কিছুই মানব সভ্যতাকে তা দিতে পারেনি। আপনার হাতের ঘড়ি টি থেকে সুরু করে বাথরুমের বাতি, ঘরের ফ্যান, এগুলোর চালিকা শক্তিই হল বিদ্যুত। ১৮৭৯ সালে টমাস আলভা এডিসন প্রথম স্বচ্ছ বিদ্যুতিক বাল্প আবিস্কার করেন। তারপর আর মানব জাতিকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয় নি, আমরা বর্তমানে বানিয়েছি অতি অল্প বিদ্যুত ব্যাবহার করে জলতে পারে এমন বৈদ্যুতিক বাতি। বানিয়েছি এলইডি লাইট, এডিসনের সেই বাতি যদিও আমরা এখন আর ব্যাবহার করি না তবে তার দেখানো পথ অনুসরণ করেই বর্তমানে এসকল আধুনিক বাতি তৈরি হয়ে থাকে।

আজ রাস্তার ল্যাম্পপোষ্ট থেকে সুরু করে সুউচ্চ ইমারত, সব জায়গায় বৈদ্যুতিক বাতি ব্যাবহার করা হয়, এই বাতি দিয়ে আমরা সাজিয়েছি আমাদের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান, সাজিয়েিেছ বিয়ের অনুষ্ঠানের মঞ্চ।

প্রিয় পাঠক যে মহান মানুষটির জন্য আজ আমরা বৈদ্যুতিক বাতির আলোতে পথ চলতে পারছি, লেখাপড়া করতে পারছি, আমাদের আনন্দ উৎসবের স্থানকে আরও সু সজ্জিত করতে পারছি সেই মহান মানুষটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে আপনাদের মন্তব্য কামণা করে আমার এই লেখাটি এখানেই শেষ করছি সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ্য থাকবেন আপনার সন্তানের হাতে খেলনা হিসেবে পিস্তল চাকু তুলে না দিয়ে তাদের হাতে বই তুলে দিন, তাদের জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী করে তুলুন ধন্যবাদ

Leave a Comment