বর্তমান সময় তথ্য প্রযুক্তি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সময়। ইন্টারনেট ব্যাবহারের হার বৃদ্ধির সাথে সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যাবহারের হার ও বেড়ে চলেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের জীবনে অতি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা অধিকার করে নিয়েছে। বর্তমানে ব্যাবসা বানিজ্য থেকে শুরু করে ব্যাক্তিগত মুহুর্ত শেয়ার করা প্রর্যন্ত। সব কিছুই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। আমাদের চিন্তা ভাবনা থেকে শুরু করে নিজেদের সেলফি, ভিডিও, মতামত, শেয়ার করে থাকি। এবং আমাদের আপলোডকৃত কন্টেন্টে অন্য ব্যাবহারকারীগণ মন্তব্য করে তাদের পতিকিৃয়া ব্যাক্ত করে থাকেন। আর আমাদের মন্তব্য এবং লেখাকে আরও অর্থবহুল করে তুলতে আমরা বিভিন্য প্রকার ইমেজি ব্যাবহার করে থাকি। আর এসকল ইমেজি ব্যাবহার কারার জন্য আমাদের ডিভাইসে বিভিন্য তৃতীয় পক্ষের এ্যাপ ইনিস্টল করতে হয়। আর এই দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিভিন্য ইমেজি এ্যাপ কোম্পানি ইমেজি সুবিধা দেয়ার নামে আমাদের ব্যাক্তিগত তথ্য চুরি এবং অপব্যাবহার করে থাকে। এ তালিকায় এবার নাম লেখাল সেলফি ইমেজি ভিত্তিক মোবাইল এ্যাপ লেন্সা।
এই এ্যাপ ব্যাবহার করে ব্যাবহারকারীগণ তাদের নিজের ছবিকে ইমেজিতে পরিবর্তন করতে পারে, এবং নিজের ছবির ইমেজি ব্যাবহার করে বিভিন্য মাধ্যমে লেখা পোষ্ট করে থাকেন। আর ব্যাবহারকারীগণ যে ছবিগুলকে ইমেজি রুপান্তর করেন সে সব ছবি সংরক্ষন করার অভিযোগ উঠেছে লেন্সা এ্যাপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান প্রজমার বিরুদ্ধে। লেন্সা এ্যাপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান প্রাজমা অবশ্য এ অভিযোগ স্বিকার করেছে। তারা বলেছে ব্যাবহারকারীদের জন্য প্রনীত ব্যাক্তিগত নীতি হালনাগাদ করা হচ্ছে। নিজেদের স্পর্শকাতর ছবি লেন্সা এ্যাপে ব্যাবহার না করার জন্য ব্যাবহারকারীদের কতর্ক করেছে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞগণ। তাদের আশংখা ব্যাবহারকারীদের ব্যাক্তিগত এবং স্পর্শকাতর ছবির অপব্যাবহার হতে পারে। সুতরাং আমাদের উচিত হবে না আমাদের ব্যাক্তিগন কিংবা স্পর্শকাতর কোন ছবি কিংবা ভিডিও অণ্য কোন তৃতীয় পক্ষের কাছে প্রেরণ কিংবা হস্তান্তর করা । আমাদের ছবি কিংবা ভিডিওয়ের অপব্যাবহারে আমাদের জীবনে ভয়াবহ সামাজিক অথবা অর্থনৈতিক কিংবা উভয় সংকট দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে বাংলাদেশর মত তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়শীল রাষ্ট্রের নারীদের জন্য ব্যাক্তিগত ছবির অপব্যাবহার ভয়াবহ পরিনতী ডেকে আনতে পারে। এজন্য আমার বিশেষ করে নারীদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে আপনারা আপনাদের ব্যক্তিগত ছবির সর্বচ্চ নিরাপত্তার দিকে খেযাল রাখবেন। সর্বদা সতর্ক থাকবেন। বর্তমানে যুগে আমরা যারা স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটার ব্যাবহার করি আমরা কেউ ই হ্যাকারদের থেকে পুরোপুরি সুরক্ষিত নই। তাই নিজেদের স্পর্শকাতর তথ্য কিংবা ছবির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত এ্যান্টিভাইরাস আপডেট করুন। এবং সম্ভব হলে প্রিমিয়াম এ্যান্টি ভাইরাস ব্যাবহার করুন। যদিও আমাদের দেশের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে টাকা দিয়ে সফটয়ার কিনে ব্যাবহার করাটা কিছুটা কষ্টসাদ্ধ। কারণ আমাদের ক্রয় ক্ষমতা অনেকটা কম উন্নত দেশের তুলনায়। আমাদের দেশে প্রচুর স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটার ব্যাবহারকারী আছেন যাদের মাসিক আয় ১০ হাজার টাকার নিচে সেক্ষেত্রে ১০ কিংবা ২০ হাজার টাকা দিয়ে এ্যান্টি ভাইরাস সফটয়ার কিনে সবার পক্ষে ব্যাবহার করা সম্ভব নয়। এছাড়াও আরেকটি বড় অসুবিধা আছে তা হল আমরা যে সকল ব্যাংক ডিবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যাবহার করি তা ডুয়েল কারেন্সি সাপর্ট করে না। একারণে সে সকল কার্ড ব্যাবহার করে আমরা অনলাইনে অর্থ পরিশোধ করতে পারি না আমাদের দেশে একটি ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড পেতে হলে পাসপোর্টের কপি ব্যাংকে জমা দিতে হয় আর সবার পাসপোর্ট থাকে না তাই সবার পক্ষে ডুয়েল কারেন্টি সাপোর্টেড কার্ড সংগ্রহ করাও সম্ভব হয় না। তবে নিজের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে একটি ভাল এবং কার্যকর এন্টিভাইরাস ব্যাবহার করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি। সুত্র প্রথম আলো