৬০ এর দশকের কথা বলছি নাসা যখন চাদে স্পেসক্রাট পাঠাল তখন পৃথীবির সকলের দৃষ্টি ছিল সেদিকে,
তখনকার মুখোরেচোক আলোচনা ছিল মানুষ চাদে যাবে মানুষ চাদে বসতি স্থাপন করবে ইত্যাদি ইত্যাদি কিন্তু এর কিছুদিন পরেই আবিস্কিৃত হল ইন্টারনেট।
ইন্টারট নিয়ে কিন্তু মানুষের ভেতর তেমন কোন আশা আংক্ষা ছিল না তখনও আমরা ভাবতাম কবে আমরা চাদে যাবো কবে সেখানে বসতি স্থাপন করব।
যে ইন্টারনেটকে আমরা গুরুত্বই দেইনি সেই ইন্টানেটের বৈাপ্লবিক উন্নয়নের কারণে আজ আমাদের জীবন যাত্রার মানই পরিবর্তন হয়ে গেছে।
আজ ঘরে বসে কেনা কাটা করা সহ নিত্য দিনের যাবতীয় কার্যাদি আমরা ঘরে বসেই করতে পারছি কিন্তু ভেবে দেখুন তো আমরা কি সে সময় ভেবেছিলাম ইন্টারনেট আমাদের জীবন এতটা পরিবর্তন করে দেবে?
বর্তমানে আমরা গড়ে তুলেছি আধুনিক কল কারখানা,অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা যদিও এখনও ক্যান্সার সহ বেশ কিছু প্রাণ ঘাতি রোগের ঔষুধ আমরা আবিস্কার করতে পারিনি,তবে এসকল রোগের ঔষুধ আবিস্কার করতে বিজ্ঞানীরা জোর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এই তো কিছুদিন আগের কথা,চলতি বছরের আগস্ট মাসে জানতে পারলাম ইতিহাসে প্রথম বার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন নারী এইচ আই ভি ভাইরাস মুক্ত হয়েছেন।
এ সংবাদ মানুষ জাতির মধ্যে নতুন আশার দুয়ার উন্মচিত করেছে, আমরা আশা করছি অতি দৃুত এই এইচ আই ভি ভাইরাসের ঔষুধ আবিস্ক্রিত হবে।
আমরা গড়ে তুলেছি আধুনিক অর্থ লেনদেন ব্যবস্থা সনাতন ব্যাংকিং ব্যবস্থা যেন আজ সেকেলে হয়ে পরেছে বর্তমানে ব্যাংক চলে এসেছে আমাদের হাতের মুঠোয়। মুঠোফোন ভিত্তিক বেশ কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে যেমনঃ বিকাশ,নগদ,রকেট,পেপাল ইত্যাদি এসকল মাধ্যম ব্যবহার করে মুহুর্তেই এক ব্যাক্তি থেকে অন্য ব্যাক্তিতে অর্থ আদান প্রদান করা সম্ভব, এ ব্যবস্থা সুধু দেশের ভেরতেই নয় এখন মুহুর্তেই পৃথীবির যেকোন প্রান্তে অর্থ প্রেরণ এবং গ্রহণ করা সম্ভব।
অপরাধ দমন,অপরাধী সনাক্তকরণ,পণ্য পরিবহন এবং সেবা খাতেও লেগেছে আধুনিকতার ছোয়া, বর্তমানে আমরা অপরাধীর আঙ্গুলের হাপ দিয়ে অপরাধীর পরিচয় সনাক্ত করতে পারি,এছাড়াও রছেছে ফেইস রেকোগনাইজেশনের মত প্রযুক্তি যা থেকে অপরাধীর ছবি থেকেই অপরাধীর পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব।
যক্ষা হলে রক্ষা নেই এ কথার আর ভিত্তি নেই,এই তো মাত্র কিছু বছর আগেও সামান্য যক্ষা রোগের পরিপুর্ণ চিকিৎসা ছিল না,কিন্তু আজ কয়েক সপ্তাহের ঔষুধ সেবনেই এই রোগ থেকে আরগ্য লাভ করা সম্ভব।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে বড়েছে আমাদের গড় আয়ু,কমেছে শিশু মৃত্যুর হার।শিশু মৃত্যুর প্রসঙ্গ আসলে একটা কথা না বলে পারা যায় না সেটা হল আধূনিক সিজার ব্যবস্থা,এই ব্যাবস্থা চালু হবার পর থেকে শিশু মৃত্যুর হার আমাদের কল্পনার থেকেও অনেক বেশি কমে গেছে, এবং কমেছে মা মৃত্যুর হার।
করণা ভাইরাস ২০২০ সালের সব থেকে আলোচিত একটি বিষয়,যা পুরো পৃথীবিকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল,একের পর এক দেশ লক ডাউন ঘোষনা করে কল কারখানা,বাজার ঘাট,মানুষের স্বাভাবিক জীবন প্রকৃয়া লক ডাউনের মাধ্যমে সিমাবব্ধ করে তোলা হয়েছিল। আমরা সে ভয়াবহ সময় থেকেও বেড়িয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি,আমরা আবিস্কার করেছি করণা ভাইরাসের টিকা,যার ফলে করণা সংক্রমণ অনেক কমে গেছে এবং স্বাভাবিক হয়ে এসেছে আমাদের জীবন যাপন,খুলে দেয়া হয়েছে বাজার ঘাট,কল কারখানা ইত্যাদি।
ক্যান্সারের চিকিৎসাতেও এসেছে বেশ কিছু বড় পরিবর্তন সনাতন চিকিৎসা পদ্ধতি ছেড়ে বর্তমানে চিকিৎসকগণ অত্যাধুকি প্রযুক্তির ব্যবহার সুরু করেছেন, বর্তমানে ক্যামো থ্যারাপির মাধ্যমে ক্যান্সার রোগীগণ বেশ উপকৃত হচ্ছেন।
ক্যান্সারের কোন ঔষুধ এখনও পর্যন্ত আবিস্কিৃত না হলেও ক্যন্সারের প্রথমিক পর্যায়ে যদি এই রোগ সনাক্ত করা যায় তাহলে এই রোগ থেকে আরগ্য লাভ করা সম্ভব বলে দাবি করেন চিকিৎসকগণ।
আমরা যোগাযোগ খাতেও ব্যপক উন্নয়ন সাধন করেছি আমরা বানিয়েছি রেডিও, টেলিফোন,মোবাইল ফোন সহ নানা ধরণের যোগাযোগ ব্যবস্থা,আমরা তৈরী করেছি ইন্টারনেট, এটা এমন একটি প্রযুক্তি যা আমাদের সভ্যতাকেই পরিবর্তন করে দিয়েছে,
আমাদের দিয়েছে ফেসবুক,টুইটারের মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম,আরও দিয়েছে ইউটিউব,নেটফ্লিক্স,হইচই,এ্যমাজন প্রাইমসহ অসংখ বিনোদন মাধ্যম।
সনাতন হাত ঘড়ির কথা মনে আছে আপনাদের? সুুধু সময় দেখা যায় এমন হাত ঘড়ীকে আমরা পঠিয়েছি যাদু ঘরে, সেই জায়গা দখল করেছে স্মার্ট ওয়াচ,যে ডিভাইস দিয়ে সময় দেখা,গান শোনা,কল করা সহ অনেক কাজ করা সম্ভব।
পরিবহন খাতে উন্নয়নে প্রযুক্তির অবদান অপরিশীম,প্রাচীন যুগের বাহন গোড়া,উট,খচ্চর,দুম্বা প্রভিতি বাহন থেকে আজ আমরা প্রবেশ করেছি আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থার যুগে আমরা বানিয়েছি বাস,ট্রেন,ট্রাক,উরজাহাজ ইত্যাদি দ্রুত থেকে অতিদ্রুত গতি সম্পন্ন বাহন,যা আমাদের দিয়েছে ভিন্য ভ্রমণ অভিজ্ঞতা। বর্তমানে আমরা বুলেট ট্রেনের যুগে প্রবেশ করেছি যে বাহনে চেপে আমরা প্রায় বিমানের গতিতে সফর বা ভ্যমণ করতে সক্ষম। সুধু পরিবহন খাতেই তো নয় আমরা উন্নয়ন ঘটিয়েছি মানুষ জাতির সামগ্রিক জীবনযাত্রায়,আর এই উন্নয়নে বড় একটি ভুমিকা রেখে চলেছে ইন্টারনেট,
ইন্টারনেটের কল্যাণে আজ আমরা ঘরে বসে যেমন করতে পারছি কেনাকাটা, তেমন পড়তে পারছি বই, সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন সহ নানা প্রয়োজনীয় নথিপত্র।
প্রযুক্তির ছোয়া পরিবর্তন করে দিয়েছে আমাদের শিল্প কল কারখানার চিত্র, এখন ১০ জন মানুষের কাজ করে দিতে পারে একটি রোবট, এতে করে ব্যাবসায়িগণ লাভবান হলেও বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অনেকে তবে রোবট কম্পানিগুল এ অভিযোগ মানতে নারাজ কম্পানিগুল দাবি করে রোবট মানুয়ের কাজ আরও সহজ করে তুলেছে একজন শ্রমিক আগের থেকে অনেক কম শ্রম দিয়ে রোবটের সহায়তা নিয়ে একই কাজ করতে পারছেন এটি মোটেই বেকারত্ব সৃষ্টি করছে না বরং রোবট কর্মিদের কাজ সহজ করে দিয়েছে।
যাই হোক এ বিষয়ে বিভিন্য মহলের ব্যক্তিবর্গ বিভিন্য মতামত দিয়ে থাকেন প্রিয় পাঠক আপনারাই নিদ্ধান্ত নেবেন রোবট কি আমাদের কাজের জায়গা দখল করছে না আমাদের কাজে সহায়তা করছে,কিছু বিষেশজ্ঞ বলেনঃ আমরা যেভাবে কলকারখানায় রোবট ব্যবহার করা সুরু করেছি তাতে করে মানুষের শতকরা ৫% মানুষ তাদের চাকরি হারাতে পারেন।
বর্তমান সময়টা অনেকটাই ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে উঠেছে, ইন্টারনেট না থাকলে আমাদের ব্যক্তিগত কাজ কর্ম সহ ব্যহত হয় ব্যাংকিং লেনদেন,দাপ্তরিক কাজকর্ম, এক কথায় ইন্টারনেট ছাড়া যেন আমাদের জীবন যাপন করাটাই অসম্ভব।
ঠিক একই ভাবে এখন আমরা ইন্টারনেট ভিত্তিক বিপ্লবের কথা চিন্তা করি কিন্তু আমাদের চোখের আড়ালে ঘটে চলেছে অন্য ঘটনা
আপনি কি জানেন বর্তমানে কোন খাতে গবেষণার জন্য সব থেকে বেশি বিনিয়োগ করছে বড় বড় কম্পানিগুলো।
যদি না যেনে থাকেন তাহলে যেনে নিন সেটা হল মানুষের আয়ুসকাল বৃদ্ধি
পৃথিবীর বড় বড় টেক জায়েন্টগুল প্রচুর টাকা বিনিয়োগ করছে এ খাতে। এসকল প্রকল্পের লক্ষ্য হল কি ভাবে মানুষের জীবনকাল বাড়ানো যায় সে পদ্ধতি আবিস্কা করা।
এবং পরবর্তিতে এসকল প্রকল্প মানুষকে অমর করার দুয়ার উন্মচিত করবে বলে অনেকে মনে করেন।
ব্যাস্তবে যদি এমন কোন পদ্ধতি আবিস্কৃত হয় তাহলে বড় ধরণের সামাজিক বিপর্যয়ের আশংকা করেন অনেক সমাজ বিজ্ঞানী
তাদের মতে পৃথীবিতে ধনি মানুষের চেয়ে গরিব মানুষের সংখা বেশি এসকল গরিব মানুষের একটা মানুষিক সান্তনা হল, মানুষ সে গরিব হোক আর ধনি হোক একদিন তো তাকে মরতেই হবে।
কিন্তু ওই প্রকল্প ব্যাস্তবায়ন হলে গবির মানুষের সেই মানুসিক প্রশান্তি আর থাকবে না কারণ গরিব মানুষ এত ব্যায়বহুল থ্যারাপি নিতে পারবে না তাই এই শ্রেণীর মানুষগণের সেই মানুষিক প্রশান্তি আর থাকবে না।
পাঠক আপনি কি মনে করেন এ ধরণের থ্যারাপি কি আদৈও কথনও আবিস্কার হওয়া সম্ভব কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন ধন্যবাদ’।