মানুষ আমরা পৃথীবি নামক গ্রহে বসবাসকারী এখনও প্রর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ি একমাত্র বুদ্ধিমান প্রাণী। মানব বংশের বিস্তার ঘটেছে মানব সন্তান প্রসবের মাধ্যমে। পুরুষ এবং নারী উভয়েরই অবদান আছে মানব শিশু জন্মের ক্ষেত্রে। একজন নারী কি ভাবে গর্ভবতি হন সে বিষয়ে আমরা সবাই কম বেশি জানি তাই এই লেখাতে আমি সেই বিষয়ে আলোকপাত করে লেখার দৈর্ঘ বারাতে চাই না। সন্তান প্রসবের প্রাকৃতীক পদ্ধতিতে সন্তান প্রসব করতে গিয়ে অনেক মার অকাল মৃত্যু হয়ে থাকে বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে মাতৃ মৃত্যুর হার আশংখাজনক ভাবে বেশি। এজন্য আমাদের আর্থ সামাজিক অবস্থা এবং সচেতনতাকেই দায়ি দায়ি। আমাদের দেশে এখনও অদখ্য ধাত্রি দ্বারা সন্তান প্রসব করানো হয় এবং ব্যাপক শিশু ও মাতৃ মিত্যুর ঘটনা ঘটে থাকে। এছাড়াও নারীদের জ্বরাযু ক্যান্সারসহ নানাবিধ শারীরিক জটিলতার কারণে নারীরা হয়ে থাকেন বন্ধাত্বের শিকার। পুরুষেরও নানা শারীরিক সমস্যার শিকার হয়ে বাবা হবার ক্ষমতা হােিয় ফেলেন ফলে নানাবিধ সামাজিক এবং মানুষিক সমস্যার শিকার হতে হয় অনেক দম্পতিদের। তবে বিজ্ঞানের কল্যাণে এসকল সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়েছে বর্তমানে টেস্ট টিউব বেবি প্রযুক্তির মাধ্যমে গর্ভ ধারণে অক্ষম নারীরাও নিজেদের ক্রমজোম দিয়েই সন্তান জন্ম দিয়ে পারেন। টেস্ট টিউব এমন এক পদ্ধতি যে পদ্ধতিতে পুরুষের শুক্রাণু এবং নারীর ডিম্ভাণু কৃত্বিম ভাবে নিসিক্ত করে, গর্ভ ধারণে সক্ষম নারীর গর্ভে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব। ফলে গর্ভ ধারণে অক্ষম নারী অন্য নারীর গর্ভে নিজের সন্তান জন্ম দিতে পারেন। অথবা যে সকল নারীর ডিম্ভাণু ু বিভিন্য শারীরিক সমস্যা অথবা অন্য কারণে পুরুষের শুক্রাণু দ্বারা নিসিক্ত হতে পারে না তারাও এই পদ্ধতি ব্যাবহার করে গর্ভধারণ করতে পারেন।
টেস্ট টিউব বেবি প্রযুক্তিকে চাড়িয়ে ব্যায়োব্যাগ নামক আরও অধুনিক প্রজণন পদ্ধতি বাজারে আসতে যাচ্ছে। ব্যায়োব্যাগ এমন এক প্রযুক্তি হতে যাচ্ছে যে প্রযুক্তিতে থাকছে না কোন নারীর গর্ভের প্রয়জন। কোন নারীর গর্ভ ছারাও কৃত্বিম গর্ভে জন্ম নেবে মানব শিশু। ব্যায়োব্যাগ এতটাই আধুনিক প্রযুক্তি হতে যাচ্ছে যে প্রযুক্তিতে শিশুর চোখ, কান, মাথার চুল কেমন হবে তা বাবা মা নিজেরাই নিদ্ধারণ করতে পারবেন। এছাড়াও শিশুর চিন্তা ভাবনা প্রর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন বাবা মা। ইয়েমেনের যৈব বিজ্ঞানী হাশেস আল গাইলীর হাত ধরে এ্যাক্সট্রলাইফ এই যৈব প্রযুক্তি উতভাবন করেছে। এই যেব প্রযুক্তি উতভাবনের ফলে অকাল মাতৃমৃত্যু অনেকটাই কমে যাবে তাছাড়া সন্তানহীন দম্পতিদের সন্তানহীনতার কারণে যে সামাজিক নিপিড়ণের শিকার হতে হয় তা থেকেই মিলবে মুক্তি। বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম নারীদের নানাবিধ পারিবারীক ও সামাজিক নির্যাচনের শিকার হে হয়। সন্তান জন্ম দিতে না পারা শুধু নারীর অক্ষমতা নয় বরং পুরুষের অক্ষমতার জন্যেও নারী সন্তান জন্ম দিতে পারে না এ ব্যাপারটি আমাদের সমাজ এবং পরিবারের সদস্যগণ বুঝতে চায় না তারা একতরফা ভাবে নারীকে দায়ি করে থাকে। এই যৈব প্রযুক্তি সে সকল নারীর জন্য বিজ্ঞানের আশির্বাদ। এখন বন্ধা নারীগণও সন্তান জন্ম দিতে পারবেন। তারাও মা হতে পারবেন পাবেন সন্তান লালন পালন করার সুখ। কথায় আছে যে নারী মা হতে পারেনি তার নারী জন্মই বৃথা। উন্নত বিশ্বের অনেক দেশ আছে যে সব দেশে নারীগণ গর্ভ ধারণে তিব্র অনিহা প্রকাশ করে থাকেন ফলে সে সকল দেশের জনসংখ্যা ক্রমাগত কমে যাচ্ছে সে সকল দেশের জনসংখ্যা সমস্যা মোকাবেলায় এই প্রযুক্তি অগ্রনি ভুমিকা রাখতে পারে। জাপান একটি উন্নত এবং ধণী রাষ্ট্র হলেও জাপানের জনসংখ্যা আশংখাজনক ভাবে কমে যাচ্ছে জাপানের নারীরাও সন্তান ধারণে অনিহা প্রদর্শন করে থাকেন। তাছাড়াও এ প্রযুক্তি বিভিন্য জন্মহত রোগ থেকেই দেবে মুক্তি শিশু কৃত্বিম গর্ভে থাকা অবস্থঅতেই শিশুর জিন এ্যাডিটিং করে শিশুর আকৃতি নির্ধারণ এবং স্বাস্থ্যগত সমস্যার সমাধান করে দেয়া যাবে।