টু জি, থ্রি জি, ফোর জি, নেটওয়ার্ক কি?

ইংরেজী ১৮৮৭ সালে জার্মানির একজন পদার্থবিজ্ঞানী’হেনরিক হার্টজ” রেডিও আবিস্কার করেন সেই রেডিও প্রযুক্তি থেকে অনুপ্রনিত হয়ে পরবর্তিতে ১৮৭৬ সালে আলেকজান্ডার গ্যাহাম বেল টেলিফোন আবিস্কার করেন। এই দুই আবিস্কার মানব জাতির জন্য ছিল অতি গুরুত্বপূর্ণ আবিস্কার, কারণ সেই রেডিও প্রযুক্তি পরবর্তীতে ১৯৭৯ সালে জাপানে বানিজ্যিকভাবে সেলুলার নেটওয়ার্ক রুপে চালু হয়। সেলুলার নেটওয়ার্ক হল: একটি যোগাযোগ মাধ্যম বা নেটওয়ার্ক, যেটার মাধ্যমে ত্বরিত চুম্বকিয় বিকিরণ রুপে ডাটা বা তথ্য আদান প্রদান করা হয় একেই সেলুলার নেটওয়ার্ক বলে। বর্তমানে কয়েকটি প্রজন্মের সেলুলার নেটওয়ার্ক প্রচলিত আছে যথাঃ টু জি, থ্রি জি, ফোর জি এবং ফাইভ জি, এখানে জি বলতে জেনারেশন বা প্রজন্মকে বোঝানো হয়েছে উদাহারণ সরুপঃ টু জি বলতে বোঝানো হয়েছে দ্বিতীয় প্রজন্মের নেটওয়ার্ক, থ্রি জি বলতে বোঝানো হয়েছে তৃতীয় প্রজন্মের নেটওয়ার্ককে এবং ফাইভ জি বলতে বোঝানো হয়েছে ৫ম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক। জেনারেশন ভেদে নেটওয়ার্কের ডাটা আদান প্রদান গতি কম বিংবা বেশি হয়ে থাকে যেমন টু জি নেটওয়ার্কের সর্বচ্চ ডাটা আদান প্রদান গতি হলঃ ২৮.৮ কিলোবাইট। থ্রি জি তে সর্বচ্চ গতিঃ কমপক্ষে ২০০ কিলোবিট। যথাক্রমে ফোর জি তে গতি রয়েছেঃ কমপক্ষে ১ গিগাবিট গতি।

এসকল প্রযুক্তি ছাপিয়ে চলে এসেছে ফাইভ জি নেটওয়ার্ক যার মাধ্যমে আরও অতি দ্রুত গতি সম্পন্য সেলুলার যোগাযোগ ব্যাবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। বাংলাদেশে মোবাইল অপারেটর কম্পানি টেলিটক ফাইভ জি প্রযুক্তি পরিক্ষামুলক ভাবে কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় ফাইভ জি নেটওয়ার্ক পরিসেবা চালু করেছে. পর্যায়ক্রমে দেশের সকল মোবাইল অপারেটর ফাইভ জি সেবা চালু করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু ঠিক কবে নাগাদ সারা দেশে ফাইভ জি সেবা পাওয়া যাবে সে বিষয়ে এখনও বেশ ধোয়াশা রয়ে গেছে।

ফাইভ জি সেবা চালু হলে বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীদের যে ধির গতির ইন্টারনেটের অভিযোগ রয়েছে তা দূর হবে বলে প্রযুক্তিবিদগণ মনে করেন। বর্তমানে সারা বাংলাদেশে ২, ৩, এবং ৪ প্রজন্মের নেটওয়ার্ক কভারেজ রয়েছে, কিন্তু কভারেজ থাকা সত্তেও ইন্টারনেটের কাঙ্খিত গতি নিয়ে ব্যাবহারকারীদের মাঝে রয়েছে তিব্র হতাশা। এজন্য মোবাইল পরিসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলর প্রযুক্তিগত সিমাবদ্ধতাকেই দায়ি মনে করেন অনেক প্রযুক্তিবিদ।

বর্তমানে দেশে দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ প্রজন্মের নেটওয়ার্ক পুরোপুরি সক্রিয় আছে। কিন্তু ৩ জি বা ৪ জি নেটওয়ার্কে যে পরিমাণ ইন্টারনেট গতি থাকার কথা সে পরিমাণ গতি ব্যাবহারকারীগণ পান না বলেই জানা যায়, প্রিয় পাঠক আশা করি বুঝতে পেরেছেন তৃতীয়, চথুর্থ, বা পঞ্চম প্রজন্মের ইন্টারনেট কাকে বলে এবং আরও জানতে পেরেছেন এসকল প্রযুক্তির নেটওয়ার্কের গতি কেমন হতে পারে। প্রিয় পাঠক আপনি কি আপনার কাঙ্খিত ইন্টারনেট গতি পান যদি পান বিংবা আপনার কাঙ্খিত গতি না পান তাহলে অবশ্যই আপনার একটি অতি মুল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে আমাদের জানাবেন। লেখটাটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ.

Leave a Comment